ইসলামী সংগীত এ যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন জুনায়েদ জামশেদ

ধর্মীয়

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় পাকিস্তানি পপ তারকা ছিলেন জুনায়েদ জামশেদ। ‘দিল দিল পাকিস্তান’, ‘তুম মিল গায়ি’, ‘সাওয়ালি সালোনি’ কিংবা ‘উহ কৌন থি’ গানগুলো নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানিদের মুখে মুখে ছড়িয়ে ছিল। গায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত শান্তির ধর্ম-ইসলামের পথে শান্তি খুঁজে নেন ইসলামী সংগীত শিল্পী জুনায়েদ জামশেদ

ইসলামী সংগীত শিল্পী জুনায়েদ জামশেদের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে মূলত উপমহাদেশের প্রখ্যাত দায়ী আলেম ও ইসলামী আলোচক মাওলানা তারিক জামিলের মাধ্যমে। তিনি জুনায়েদ জামশেদকে দ্বীনের পথে ফেরাতে নিরলস প্রচেষ্টা করে যান।

এ নিয়ে মাওলানা তারিক জামিল নিজেই এক ভিডিওতে বলেন, জুনায়েদ যখন সংগীত ছাড়বে কি না – এ নিয়ে অনবরত  ভুগছিল, এমন সময় একদিন জানতে পারলাম, সে আমার কাছে আসতে লজ্জা পাচ্ছে কারণ, আমাকে দাড়ি না কাটার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে তা রক্ষা করতে পারেনি। তাই লজ্জায় আমার কাছে আসছিল না।

একথা জেনে আমি বললাম, যেহেতু সে লজ্জা পাচ্ছে, তাই তাকে মুখ ঢেকে আসতে বল আমার কাছে। তবুও ধর্মীয় মজলিস থেকে দূরে সরে যেতে বল না।’

জুনায়েদ জামশেদ ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতজগতকে বিদায় জানান। এরপরই মিডিয়া ও লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান জুনায়েদ। জড়িয়ে পড়েন তাবলিগ জামাতের সাথেও। তাবলিগের হয়ে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেবার পাশাপাশি তিনি শুরু করেন নাত (নবীর স্তুতিমূলক গান) গাওয়া। ইসলামী সংগীতের মাধ্যমে আবারো জনপ্রিয়তা পান জুনায়েদ জামশেদ।

তার গাওয়া জনপ্রিয় ইসলামি সংগীতগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মেরা দিল বাদাল দে, মুহাম্মাদকা রওজা, মে তো উম্মাতি হু আয়ে শাহে উমাম, ‘মেহবুব-এ-ইয়াজদান,বদর-উদ-দুজা, ‘বাদি-উজ-জামান’।

ইসলামী সংগীত জগতে ব্যাপক জনপ্রিয় জুনায়েদ জামশেদ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ বিমান দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক মৃত্যু বরণ করেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর।

 

আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে মশাল মিছিল