প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (৮ মে)। ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে প্রভাব বিস্তার সমস্যা প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও অনিয়ম যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সেজন্য ইসি সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রভাব বিস্তারের কারণে ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজনের প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তারে নিবৃত্ত করতে পেরেছি। প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়; সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট উপলক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রসঙ্গত, বুধবার দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হচ্ছে। এরমধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে।
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকবো, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবো। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোটের সব ধরনের আয়োজন শেষ হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আইন শৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবনে পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কোন দল থেকে কে দাঁড়াল সেটি ইসির দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কেমন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কিনা সেটা আমরা দেখব না।
সিইসি আরও বলেন, আইনে আছে নির্বাচনে যদি একজন প্রার্থী থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত হবেন। কেউ যদি এভাবে বিজয়ী হয়ে থাকেন সেটা আইন অনুযায়ী।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে ইসি বেকায়দায় নেই। এটা পুরাটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।
এদিকে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ৬ থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
এ ছাড়া ভোট উপলক্ষে বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুনঃ দুদিন পর ফ্লাইট শুরু এখনো অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজ যাত্রী!!!