উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কেরানীগঞ্জ রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট।

এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এতো বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভোটকেন্দ্রের জন্য আগে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল, সেটা যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন ৩ জন। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী ৬ জন সদস্য থাকবে।

প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে আর ছয়টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ ৪ জন পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে ৩ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব মিলিয়ে মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

সিনিয়র এই সচিব জানান, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।‌ মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য ভোটের দুদিন আগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোটের পরে আরও দুদিন তারা থাকবেন।

সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এটি গঠিত হবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট  পোলিং  কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, তা একটি টিম তদারকি করবে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর নেই বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই। তারপরেও প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে।

আরো পড়ুনঃ কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০