সায়দাবাদ

এ দেশে জন্মগ্রহণ করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন শনিবার (৬ জানুয়ারি) সারা দেশে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। এ হরতালের কারণে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে কমেছে যাত্রী। ফলে বিভিন্ন গন্তব্যে বাসও ছাড়ছে কম। এতে যে কয়জন যাত্রী ঘর থেকে বের হয়েছেন, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

পরিবহন শ্রমিক মালিকরা জানিয়েছেন, প্রতি হরতালেই সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল যাত্রী কম থাকে। তবে আজকের হরতালে অন্য যে কোনো সময়ের থেকে যাত্রী বেশি কম। আর কম যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিলে বাসের খরচে উঠবে না। ফলে পর্যাপ্ত যাত্রী ছাড়া বাসগুলো গন্তব্যে ছাড়ছে না।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সাড়ে ১০টায় সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা যায়, টার্মিনালের ভেতর এবং বাইরে শত শত বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। কিন্তু টার্মিনালে যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে। শুধু ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের কাউন্টারে কিছু বাস এবং যাত্রী দেখা গেছে। বাকি কাউন্টারে তেমন যাত্রী চোখে পড়েনি। ফলে অলস সময় পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জিঞ্জিরা থেকে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে যান ব্যবসায়ী ইমন আহমেদ। তিনি যাবেন কুমিল্লা । কিন্তু আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি।

এসময় পাশে থাকা আরেক যাত্রী রিফাত হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, দেশে কে ক্ষমতায় এলো, আর কে ক্ষমতা ছাড়লো তা জেনে আমাদের কোনো লাভ নেই। আমরা এখন নিজের চাকরি-ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যখন জনগণকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন খুব কষ্ট হয়। মনে হয় এ দেশের জন্মগ্রহণ করে ভুল করেছি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হবে।

এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা নাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হরতালে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নির্দেশনা রয়েছে। তবে সকাল থেকে যাত্রী কম। সকাল ১০টা পর্যন্ত ময়মনসিংহগামী ১৫টা গাড়ি গেছে। প্রতিটি গাড়িই আসন পূর্ণ হলে ছাড়া হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আজ যাত্রী এবং বাস খুব কম যাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ, কঠোর নিরাপত্তা তবুও দ্বিধা