চকবাজারের চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের ছয় বছর হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শোকাবহ দিনটি স্মরণে সকালে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে সমবেত হন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বিভিন্ন দাবি দাওয়া গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে। তাদের অভিযোগ, আসামিরা যাতে মুক্তি পায়- সেভাবেই কৌশলে দায়ের করা হয়েছে মামলাগুলো। এজন্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পুন:তদন্ত দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সংস্থার ৭ দাবিগুলোর মধ্যে হলো, অগ্নিকান্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আসা রাষ্ট্রীয় ত্রাণ তহবিলে গচ্ছিত রাখা ৩০ কোটি টাকা পরিবরাগুলোকে বুঝিয়ে দিতে হবে; রাষ্ট্র পক্ষ হতে করা মামলাটির চার্জশীটে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা পুরোপুরি আসামী পক্ষকে বাচাঁনোর জন্যই করা হয়েছে। মামলাটি পূর্বক পুন:রায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর মাধ্যমে তদন্তের জন্য অনুরোধ জানানো হয়; রাষ্ট্র পক্ষের নিয়োগ দেওয়া সাবেক আইনজীবি একজন ব্রোকার ছিলেন। তিনি স্বাক্ষীগণের কাছ থেকে অর্থ দাবী করেন এবং স্বাক্ষীগণের সামনেই আসামী পক্ষ হতে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। চার্জশীটের উল্লেখ করা লেখা গুলোই জোড়পূর্বক স্বাক্ষীগণকে বলার জন্য বলেন এবং আরও বলেন লেখা অনুযায়ী না বললে মামলা হেরে যাবেন। নিরপেক্ষ একজন আইনজীবি নিয়োগ করতে হবে ; কালক্ষেপণ না করে মামলাটি দ্রুত পরিচালনা করে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সদস্যদের মধ্যে কর্মক্ষম একজন করে হলেও নূন্যতম গ্রেডে সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করা। ছেলে/মেয়েদের সরকারি স্কুলে লেখা পড়ার সুযোগ করে দেওয়া, বিধবা ভাতা/বয়স্ক ভাতা, রেশন কার্ড সহ নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে ; যে সকল পরিবার গুলোকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন চাকুরি দিয়েছিলেন। সে সকলের চাকুরি স্কেলভূক্ত/স্থায়ীকরণ করতে হবে। পাশাপাশি বসবাসের জন্য কোয়ার্টার বরাদ্দ দিতে হবে; পুরাতন ঢাকা থেকে কেমিক্যাল সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ নগরীতে স্থানান্তর করতে হবে। পুরাতন ঢাকার ঘনবসতি ও ব্যবসায়িক এলাকায় রাস্তার মোড় গুলোতে ফায়ার হাইড্রেন্ড স্থাপন করতে হবে বলে দাবিগুলোতে জানানো হয়।
সানমুন/শব্দ- ২৮৫
