কিছু গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে, বাসা-বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস
এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক বা বাসা-বাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু গণমাধ্যম বা সোস্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে, বাসা-বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেওয়ার প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।
বিবৃতিতে আরোও বলা হয়, কিছু প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে তিতাস।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও সংযোগ চালু করা হয়। তবে ২০১৪ সালের পর আবার জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়।
জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আপাতত গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো উপায় তাদের হাতে নেই। ২০২৬ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও সংস্কারের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাতে সফল হলে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা কূপে গ্যাসের সন্ধানও মিলেছে। পাশাপাশি আরও এলএনজি আমদানির জন্য সরকার যে চুক্তি করেছে তাতেও ২০২৬ সালের আগে নতুন গ্যাস আমদানির কোনো সুযোগ নেই। এ কারণেই কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৬ সালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।
আরোও পড়ুনঃ রাষ্ট্রের ১০ খাতে সংস্কার চায় জামায়াত, ৪১ প্রস্তাবনা