সালমা ইসলাম

পরিবর্তন আপনাদের হাতে, ভোট দিতে আসেন – সালমা ইসলাম

জাতীয়

ঢাকা-১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৫ বছর আমি আপনাদের ভোট এ  নির্বাচিত এমপি ছিলাম। কিন্তু ১৫ বছর ধরেই আপনাদের পাশে থেকেছি। ১৪টি ইউনিয়নে সব উন্নয়নে আমার হাতের ছোঁয়া আছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এই উন্নয়ন আরও দৃশ্যমান হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। পরিবর্তন আপনাদের হাতে। কেন্দ্র আসেন। ভোট দেন। রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

এ সময়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে বিভিন্ন হুমকি আছে। বিভিন্ন লোকজন অনেক কথা বলেন। তবে আমি ফাইট করবো। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ এবং সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান প্রমুখ।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম বলেন, আমার লক্ষ্য কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে। বিশেষ করে ভাঙন কবলিত হতদরিদ্র নারী ও পুরুষসহ শিশুদের প্রতি থাকবে না কোনো বৈষম্য। এলাকার সব নাগরিক শান্তি এবং সমৃদ্ধি ভোগ করবে। চরের বিভিন্ন স্থানে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দিরে সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি শিশুদের জন্য ধর্মীয় ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা যাতে স্বচ্ছভাবে সমবণ্টন হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সালমা ইসলাম।

সভায় ভোটারদের ঢল নামে। এ সময় দলে দলে দলীয় নেতাকর্মীরা ও স্থানীয় জনসাধারণ সভাস্থলে যোগ দেন। দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা স্লোগানে স্লোগানে সালমা ইসলামকে স্বাগত জানান।

সালমা ইসলাম এমপি বলেন, ১৫ বছরে আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলাম একবার। বাকি দুবার সংরক্ষিত আসনে এমপি। কিন্তু এরপরও বার বার আপনাদের কাজে ছুটে এসেছি। বিপদ আপদে আমাকে পাননি এমন কথা বলতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট দিয়েছেন। ফলে নিজের বা পরিবারের চলার জন্য সরকারি টাকার প্রয়োজন হয় না। আমি আপনাদের সেবা করতে এমপি হতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি নিজের তহবিল থেকে অনেক বড় অংকের টাকা  আপনাদের জন্য খরচ করি।

তিনি বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রয়াত নুরুল ইসলাম আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একে একে ৪২টি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। ওনার প্রতিষ্ঠিত যমুনা ফিউচার পার্কের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেড়েছে। তার স্ত্রী এবং আপনাদের পুত্রবধূ, কারো বোন হিসেবে কথা দিচ্ছি নবাবগঞ্জ দোহারবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে আমি কাজ করব। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি আর কিছু নিতে আসিনি।

তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখ দুর্দশার কথা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছি। পদ্মার ভাঙন থেকে দোহারবাসীকে বাঁচাতে বেরিবাঁধ নির্মাণে ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। টেন্ডার হয়েছে। বেরিবাঁধের বড় অংশের কাজ হয়েছে। আগামী ৭ তারিখে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে বাকি কাজ শেষ করব।

সালমা ইসলাম আপনাদের এত আপনজন যিনি সব সময় দোহার-নবাবগঞ্জবাসীদের নিয়ে ভাবেন। কেউ বলতে পারবেন না ১৫ বছরে উনি আপনাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিয়েছেন। একটি মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করেছেন, এমন কেউ বলতে পারবেন না। ওনার সন্তানরা অত্যন্ত সুশিক্ষিত এবং উজ্জ্বল ভাবমুর্তি সম্পন্ন। তাদের কোনো ধরনের বদনাম নেই। তিনি আপনাদের দুয়ারে এসেছেন। ওনাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করুন। অতীতের মতো পাশে পাবেন।

আরো পড়ুনঃ স্টাম্পিং ও কনকাশনে নতুন নিয়ম আনলো আইসিসি