প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন

প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন

অর্থনীতি ও বিনিয়োগ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ এ প্রতিপাদ্য ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিকেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এ বাজেট সংসদে উপস্থাপন করবেন। এটি হবে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজেট ঘোষণার জন্য রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রওনা দেন অর্থমন্ত্রী। পরে বেলা পৌনে ১১টায় সংসদে পৌঁছান মন্ত্রী।

বাসভবন থেকে বেরিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যতটুকু সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে এবারের বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে করছাড় সুবিধা থাকছে এ বাজেটে।

বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

আরো পড়ুনঃ মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্তদের জন্য আশ্বাস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত