বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

কেরানীগঞ্জ

বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকায় বালু বোঝাই একটি বাল্ক হেডের ধাক্কায় প্রায় ৬০-৭০ জন যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। রবিবার রাত সারে ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াটার বাসের কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে যানা যায়, ওয়াটার বাসটি শ্যামবাজার ঘাট থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। শেষ ট্রীপ হওয়ায় ওয়াটার বাসটিতে উপরে নিচে ৬০-৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলো। ওয়াটার বাসটি মাঝনদী বরাবর আসলে এম ভি আরাবী নামক একটি বাল্ক হেডের ধাক্কায় ডুবে যায়।

খবর পেয়ে দুর্ঘটনার কিছু সময় পরেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

ওয়াটার বাসের একজন যাত্রী মোঃ ইউসুফ দেশ রূপান্তর কে জানান, আমি কেরানীগঞ্জে যাবার জন্য ওয়াটার বাস এ উঠেছিলাম।ভেতরে জায়গা না পেয়ে ওয়াটার বাসের ছাদে উঠেছিলাম। বাল্ক হেডের ধাক্কায় বাসটি ডুবে গেলে, আশে পাশের নৌকার মাঝিরা অনেককে উদ্ধার করে। বাসটির নিচের যাত্রীরা বেশির ভাগ ই ডুবে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সদরের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। নিখৌঁজদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন জিবীত,দুইজন অচেতন ও একজন মৃত। সবাইকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো  হয়েছে।

সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জনের মত যাত্রীছিল। বেচে যাওয়া যাত্রীদের ভাষ্য মতে ৩০ থেকে ৩৫ জন  নিখোঁজ রয়েছে।  রাত নয়টায় খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।’

শেষ খবর  রাত (১১.৩০) পাওয়া পর্যন্ত   রাত ১০ টার দিকে ৭ জন কে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৪জন জীবিত এবং ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ৩ জনকেই মৃত ঘোষণা করে। এদের মাঝে আলিফ নামে ১৪ বছরের এক শিশু ও ২৫ ও ৫০ বছরের অজ্ঞাত দুইজন পুরুষ রয়েছে।

বিআরটিসি জাহাজ অগ্রদূত ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস টিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। বাল্ক হেড টি আটক রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ইউ পি চেয়ারম্যান পুত্রের ছুড়িকাঘাতে গুরুত্বর আহত ব্যাক্তিগত ড্রাইভার