রাজধানী এর মানুষের চাপ এখন বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক। টানা তিন দিনের ছুটির সঙ্গে ভোট দেয়ার আগ্রহ নিয়ে দলে দলে ঢাকা ছাড়ছে ভোটাররা। অনেকের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তবু নিজ এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার আগ্রহে কমতি নেই তাদের।
দেশজুড়েই বইছে ভোটের হাওয়া। তাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিতে দলে দলে রাজধানী ছাড়ছেন ভোটাররা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সায়দাবাদ, গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ীতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। আজ শুক্রবার সকালেও বাড়িফেরা মানুষের চাপ দেখা গেছে বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক। এরই মধ্যে অনেকটাই ফাঁকা ঢাকার রাস্তাঘাট।
রাজধানীর কদমতুলি এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আক্কাস নামের একজন বলেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটি পেয়েছি। ভোট দিতে বাড়ি যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে আমার বউ-বাচ্চা। তাদের কাছে প্রার্থীরা বারবার এসেছেন, ভোট চেয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য অভিভাবক নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলে মনে করি। তাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছি।’
রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। চুনকুটিয়া বাসস্ট্যান্ডে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে বাসে তুলে দিতে এসেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদপুরের জব্বার মিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী এলাকায় ভোটার হয়েছে। এবারই প্রথম ভোট দিবে ও। তাই বাড়ি যাওয়ার জন্য তার মধ্যে একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক খোলা থাকায় আমি আজ যেতে পারছি না। শনিবার যেহেতু দূরপাল্লার বাস চলবে তাই ওই দিন অফিস শেষ করে আমি বাড়ি যাব।
সরেজমিন চুনকুটিয়া বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাস কাউন্টারে বাড়িফেরা মানুষের দীর্ঘ লাইন। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টিকিট মিলছে না দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন। বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করেন অনেকে। তবু নির্বাচন সুষ্ড় হওয়ার আশ্বাসে ভরসা রেখে ভোট দিতে বাড়ি যেতে চান তারা। পাশাপাশি ভোটবিরোধীদের নাশকতার আশঙ্কার কথাও জানান অনেকে।
অপরদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতেও দেখা গেছে বাড়তি যাত্রী। তবে সন্ধ্যার পর এই চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ চালকরা।
এছাড়া বরিশালের বেশিরভাগ লঞ্চের কেবিন আগেই বুক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ ম্যানেজাররা।
৭ জানুয়ারি এবার ভোট হবে উৎসবমুখর, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ আর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কাজ করবেন দেশ ও জনমানুষের কল্যাণে এমন প্রত্যাশা সাধারণ ভোটারদের।