মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনার ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডিবি পরিচয়ে এয়ারপোর্ট হতে আগত প্রবাসীদের  ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, ০৪ ডাকাত গ্রেপ্তারসহ  লুন্ঠিত স্বর্ণ ও বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করেছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ২৩ মে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহবুদ্দিন কবীর। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সুমন মিয়া (২৫), মোঃ মোস্তফা (৩২), মোঃ আলামিন (২৫) ও মোসাঃ শারমিন আক্তার (৩৩)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডিবি পরিচয় দিয়ে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের বহনকারী গাড়ীকে পথরোধ করে জোরপূর্বক তাদের নিকট থাকা বিদেশী মুদ্রা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাতি করে আসছিলো। ডাকাতরা মূলত ঢাকা থেকে দূরবর্তী বিভিন্ন জেলা যেমন- ময়মনসিংহ, বরিশা, বাগেরহাট থেকে ঢাকাতে এসে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের এয়ারপোর্ট হতে আগত গাড়ীকে টার্গেট করতো।
 পরবর্তীতে তারা টার্গেটকৃত গাড়ীকে অনুসরন করে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফাঁকা জায়গায় পিছন থেকে এনে গাড়ীকে চাপ দিয়ে থামিয়ে দেয় এবং উক্ত ডাকাতচক্র তাদেরকে ডিবি পরিচয় দিয়ে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নিকট অবৈধ মালামাল আছে বলে তল্লাশীর কথা বলে জোরপূর্বক মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাতি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলটি  গত ২/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় ফরিদপুর জেলার দেলোয়ার মাতব্বর তার মালেয়শিয়া ফেরত ছেলেকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে ফরিদপুরে নিয়ে আসার সময় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুর ফ্লাইওভার এর উপরে পথরোধ করে ডাকাতি করে।  পরে ০৫/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে হতে  মামুন মিয়া সৌদি আরব ফেরত তার বোন, ভাগিনাদের নিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার পথে ডাকাতরা তাদের গাড়ী থামিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে পথরোধ করে তাদের নিকট থানা বিভিন্ন প্রকার বিদেশী স্বর্ণালংকার ও মালামাল ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
এমতাবস্থায় অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর উল্লেখিত দুটি ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার  আসাদুজ্জামান নির্দেশনায় , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম, এর সার্বিক দিকনির্দেশনায়  এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল   শাহাবুদ্দিন কবীর, এর নেতৃত্বে একটি স্পেশাল তদন্ত টিম এই ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
 ঘটনাস্থল হতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত সর্দার ১. সুমন মিয়া (২৫), কে ময়মনসিংহ নান্দাইল হতে ২. মোস্তফা (৩২) কে ময়মনসিংহের ত্রিশাল হতে ৩. মোঃ আলামিন (২৫) তে রামপুরা, ডিএমপি হতে ৪. শারমিন আক্তার (৩৩) কে কোতয়ালী, বরিশাল হতে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং তাদের নিকট হতে স্বর্ণালংকার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীরা সকলে সক্রিয় ডাকাতদলের সদস্য। সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের ধৃত সদস্য ও পলাতক ডাকাতরা ইতিপূর্বে ডিবি পরিচয় ব্যবহার করে ঢাকা মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ডাকাতি করেছে মর্মে জানা যায়।