সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে আহ্বান করেছেন শেখ হাসিনা

জাতীয়

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজকে যেকোনও গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে সিনিয়র সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় শেখ হাসিনা গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।

সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ‘সিড মানির’ টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। আবার ক্ষমতায় এলে আমি আবারও এই ট্রাস্টে অর্থ প্রদান করবো।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজ মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন। তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ মিডিয়া এখন দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। মানুষ এখন মুদ্রিত সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে খবর পড়ার জন্য ক্রমবর্ধমান হারে ব্রাউজ করছে, যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ধৈর্যসহ সাংবাদিক নেতাদের কথা শোনেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী দশম মজুরি বোর্ড গঠন ও ঘোষণার পর মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতে ব্যাংক, বিমা ও মিডিয়া খুলেছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র সরকার, যারা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কিছু করেছে। সরকার দেশবাসীকে একটি উন্নত ও সচ্ছল জীবন দিতে সম্ভাব্য সবকিছু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ও আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন।

বিএফইউজে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি ওমর ফারুক। এ সময় তিনি বক্তব্য রাখেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও বিএফইউজে সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আক্তার হোসেন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক ও কুদ্দুস আফ্রাদ এবং ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান। সভা সঞ্চালনা করেন বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ।

আরো পড়ুনঃ ভোটে নারী প্রার্থী ৯০, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৭৯ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন