বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, ব্যারিস্টার হারুনর রশিদ, পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ফলাফল স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলি নাই। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নিয়ে অভিযোগ ছিল।
বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন, টাকা-পয়সা দিয়েছেন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আদালত সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আদালত বলে দিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ যেন তাঁকে এই পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তিনি। রিটের পক্ষের আইনজীবী হলেন, অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। গত ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। এই নায়িকা পান ২০৯ ভোট।