ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় খণ্ডিত মরদেহের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহতদের মধ্যে বীথি আক্তার ও নূপুর আক্তারের মাথাসহ দেহের অন্যান্য অংশ এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু (পোস্তগোলা) সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুলের দেওয়া তথ্যমতে, তিনি হত্যার পর মরদেহের খণ্ডিত অংশ প্লাস্টিক ব্যাগে মুড়ে নদীতে ফেলে দেন।
বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইবনে ফরহাদ, এসআই কামরুল ইসলাম ও তাঁদের সঙ্গে থাকা ফোর্স। তাঁরা জানান, মহিউদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে ডুবুরিরা তল্লাশি চালিয়েছেন, তবে আজও মরদেহের কোনো নতুন অংশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুনঃ বস্তাবন্দি লাশ: মোবাইল রিচার্জ কার্ডের সূত্রে কেরানীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন
গত ২৫ এপ্রিল সাবেক স্ত্রী বীথি আক্তার, চার বছর বয়সী ছেলে রাফসান ও ভাড়াটিয়া নূপুর আক্তারকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে সড়ক, ঝোপঝাড় ও নদীতে ফেলে দেন অভিযুক্ত মহিউদ্দিন। এরই মধ্যে শিশুটির পুরো মরদেহ ও নূপুরের মাথাবিহীন দেহের একটি অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে বীথি ও নূপুরের মাথাসহ দেহের অন্যান্য অংশ এখনও নিখোঁজ।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে মরদেহের সব অংশ উদ্ধার করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে বুধবারও অভিযান চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তল্লাশি অভিযানে সহযোগিতা করছে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।