উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ তারিখে ফাইনাল খেলা হবে, ফাউল করে লাল কার্ড পেয়ে পালিয়েছে বিএনপি, তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন তারা বোমা মারবে, তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ দিয়েছেন বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে। বিএনপি ভুয়া, তাদের আন্দোলন ভুয়া।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে বিএনপি, সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের প্রতি অনুরোধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে সাধারণ ছাত্রদের আকর্ষণ তৈরি করতে হবে। ছাত্রলীগের সাধারণ সভায় শুধু ছাত্রলীগ থাকবে কিন্তু সাধারণ ছেলে-মেয়েরা থাকবে না, সেটা অর্থহীন। ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আকর্ষণীয় করতে হবে মেধা, সাহস, পড়াশোনা, চলাফেরা, পোশাক পরিচ্ছেদে স্মার্ট হয়ে। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে গতানুগতিক ভাষণ দিতে পারা মানে স্মার্ট নয়। এসব এখন আর কেউ শুনে না। কথা বলতে হবে মনে ভাষায়, চোখের ভাষা বুঝতে হবে।
দিকনির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ছাত্রলীগকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বুঝাতে হবে যে এই দেশ ভালো লোকের হাতে থাকলে ভালো হবে। ভালো লোকেরা রাজনীতিতে না আসলে দেশের রাজনীতি মূল্যহীন, মেধাহীন ও চরিত্রহীন হয়ে পড়বে। রাজনীতিতে চরিত্রবানদেরকে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে হবে খারাপ লোকের হাতেই দেশের দুঃশাসন। ছাত্রলীগের ঘুম, পড়াশোনা, লেখালেখির সময় রুটিন মাফিক থাকবে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুটিনমাফিক লাইফ লিড করতে হবে। মুখস্থ বক্তৃতা করে নেতা হওয়া যাবে না, ছাত্রলীগকে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। রাত ৯টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অফিসে আড্ডা দিলে হবে না। তখন পড়াশোনা করো। যতই পড়বে, ততি শিখবে, ততই নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সহ বিভিন্ন ইউনিটের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, যে কৌশল নিতে যাচ্ছে বিএনপি
