দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমানউল্লাহ আমান এর জামিন আবেদন খারিজ করে লিভ-টু-আপিল শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে সেদিন আবারও জামিন আবেদন করা হবে বলে জানান আমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আমানের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আমানউল্লাহ আমান এর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০০৭ সালের ২১ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে আমানউল্লাহ আমান কে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দোষী সাবোস্ত হওয়ায় একই আদালত তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন পরবর্তীতে এই দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
এরপর ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি তাদের করা আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
একপর্যায়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আমানউল্লাহ আমান। তবে আদালত আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে আমানউল্লাহ আমানের স্ত্রী একই মামলায় এখন জামিনে রয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জ এ সেনা সদস্যদের ভোটবর্জনের লিফলেট দিলেন নিপুন রায়