নাম মাত্র খাস কালেকশনে চলছে বাস্তার পশুর হাট

কেরানীগঞ্জ বাস্তা

কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দরীগাও বাজার হাটটি ইজারাদার পালিয়ে যাওয়ায়, নামমাত্র খাস কালেকশনের মাধ্যমে চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু ব্যাক্তিবর্গ। এতে করে রাজস্ব হারাচ্ছে উপজেলা পরিষদ। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতা নামমাত্র খাস কালেকশন জমা দিয়ে চালাচ্ছে এ পশুর হাট টি।

জানা যায়, পশুর হাট টির ইজারাদার ছিলো সাবেক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ওহিদুল। ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায় হাটটি ইজারা নেন তিনি। ইজারার ৪ লাখ টাকা জমা দেয়া ছিলো এবং ৭০ হাজার টাকা বকেয়া ছিলো।

গত ৫ আগষ্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর, এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওহিদুল। এরপরে হাটটির পরিচালনার দায়িত্ব নেন স্থানীয় বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী বিল্লাল, ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ওয়াদুদ মিয়া, শ্রমিক দলের স্থানীয় নেতা নেকবর আলী সহ আরো কয়েকজনে।  এরপরে প্রতি সপ্তাহে হাটের খাস কালেকশন বাবদ মাত্র ৫ হাজার টাকা করে তারা উপজেলা পরিষদে জমা দিচ্ছেন,এবং বাকি টাকা নিজেদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দরিগাও হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কয়েকজন যুবক। কেউ হাসিল কাউন্টারের দিকে ক্রেতাদের নিয়ে যাচ্ছে, কেউ লাঠি হাতে পশুর লাইন ঠিক করছেন, কেউ হাসিল রশিদ চেক করছেন।

সাপ্তাহিক বৃহস্পতিবার হাটে বেচাকেনা বেশি হলেও, সরকারি খাস কালেকশনে জমা হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার টাকা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: সোহরাব হোসেন বলেন, এই পশুর হাট টি ঐতিহ্যবাহী হাট, ইজারা আরো বেশি হবার কথা থাকলেও  আওয়ামীলীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে নাম মাত্র ইজারায় হাটটি চালাতো, কিন্তু বিএনপি তো আরো অনিয়ম করছে, মাত্র ৫ হাজার টাকা খাস কালেকশন দিয়ে সব টাকা তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। অথচ এই টাকা সরকারি কোষাগারে যাবার কথা ছিলো। এতে করে দেশের উন্নয়ন হইতো এখন বিএনপির নেতাদের উন্নয়ন হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,ইজারাদার পালিয়েছে হাটটি উচিত ছিলো আবার ইজারা দেয়া। তা না করে উপজেলা প্রশাসন কিছু লোক ম্যানেজ করে নাম মাত্র খাস কালেকশনে চলছে হাটটি। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, দ্রুত সময়ে হাটটি পুনরায় ইজারা দেওয়া হোক, এতে করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হবে। দেশের ও উন্নয়ন হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফিরোজ মিয়াকে মুঠেফোনে পাওয়া যায় নি, মুঠোফোনে বিএনপি নেতা ওয়দুদ মিয়া জানান, ৫ হাজার টাকা খাস কালেকশনে জমা দেই, আর বাকি যা থাকে এখানে যারা কাজ করে ইজারা তুলে হাটের শৃঙ্খলা মেইনটেইন করে ওদের মধ্যে ভাগ করে দেই। এখান থেকে ৫০০ টাকাও আমরা খাই না।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।

আরোও পড়ুনঃ রেইনবো নেশন গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন – মোশাররফ