‘পার্লারে গোপন দৃশ্যধারণে’র অভিযোগে পর্ণোগ্রাফি মামলায় সকল আসামীর জামিন

জাতীয় লাইফ স্টাইল

অশ্লীল দৃশ্য ধারণ

বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাজ আলমকে গতকাল গ্রেফতারের দিনই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মামলার ৫ নাম্বার আসামী তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) জামিন নেন। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর এ মামলায় প্রথম তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন- এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) এবং এইচএম জুয়েল খন্দকার (৩৩)। এদের গত ০৯ জানুয়ারী জামিন মঞ্জুর হয়। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। পার্লারে সিসি ক্যামেরায় পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে সিসি ক্যামেরা রেখে তা অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ করার অভিযোগ করা হয়। এরপর সেখান থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করা হয়। মামলায় আালামত হিসেবে এগুলো উপস্থাপন করা হয়। ভিক্টিমের ধারণকৃত ভিডিওর স্থিরচিত্রও উপস্থাপন করা হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার খাতিরেই পার্লারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা ছিলো। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না। তাছাড়া পোশাক পরিবর্তন রুমেও সিসি ক্যামেরা ছিলো না। সেটা ভুল বুঝাবুঝি ছিলো। আজ চিফ মেট্টোপলিটন মেজিস্ট্রেট কোর্টে জনাব মোঃ আশেক ইমামের আদালতে তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) জামিন নেন। এর মাধ্যমে ৫ আসামীই জামিন পেলেন।