বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেরানীগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ইস্পাহানি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের মেধাবী ছাত্র রিয়াজ, ঢাকা মডেল কলেজের ছাত্র ফয়জুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন পোষ্ট গ্রাজুয়েট বি: কলেজের ছাত্র নাদিমুল হাসান এল্যান ও ইস্পাহানী কলেজের ছাত্র মাসুদ রানা শহীদ হন। গুরুতর আহত আবস্থায় চিকিৎসারত রয়েছেন উত্তর বাহেরচরের রাকিবুল ইসলাম, ইস্পাহানী কলেজের মেহেদী হাসান ও সাবেক ছাত্র ইস্পাহানী কলেজের আবু সাইদ।
তাদের আত্মহুতির কথা স্মরণ করে কেরানীগঞ্জের নয়াবাজার কলেজে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র জনতা বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ, দেশের গান , কবিতা এবং আলোর মিছিল । আজকের কর্মসূচিতে নয়াবাজার কলেজের শিক্ষার্থীসহ আসেপাশের অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নয়াবাজার কলেজের ছাত্র সমাপ্ত বলেন, ❝ শহীদ ভাইদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। মনে করেছিলাম স্বাধীন হওয়ার পরে কাজ শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আর ও অনেক কিছু করা লাগবে।❞
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রপথিক ও ঢাকা জেলার সাবেক ছাত্র নেতা শহিদুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায়
এ সময় বক্তব্য রাখেন নয়াবাজার কলেজের অধ্যক্ষ আ: মালেক মিয়া ও শাক্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মিজানুল হক মিজান। আবৃত্তি করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও আবৃত্তি শিল্পী মাসুদ রানা, সাবেক ছাত্রনেতা জানে আলম সুমন,শহিদুল ইসলাম রাজু,হাসানুজ্জামান বিপু, রানিসা মাসুদ তাহা ও সিনথিয়া।
আন্দোলনের সৃত্মিচারণ করেন সাবেক ছাত্রনেতা শাওন আহম্মেদ, পার্থ মজুমদার, খোরশেদ আলম, নওশাদ আহম্মেদ, নোমান ও সায়মন চৌধুরী।