কেরানীগঞ্জে বিগত কিছুদিনে সিরিজ ডাকাতি ঘটনায় ডাকাত দলের সর্দার মাস্টার সহ ১০ ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
শীতের তীব্রতার সুযোগ নিয়ে কেরানীগঞ্জের দুই থানা এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি করেছে ডাকাত দলটি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে সাথে মাছ ধরার জাল রেখে পেশায় মৎস্যজীবী পরিচয় দিত ডাকাত দলটি।
মঙ্গলবার (২রা জানুয়ারি) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। অভিযানকালে ডাকাতদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদলের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপরে উল্লেখিত ডাকাতির ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাত দলের সর্দার কুখ্যাত ডাকাত ইলিয়াস (৪৮) সহ অন্যান্যরা হলেন শাহিন (২৮) ভাগিনা, সোহেল (৪০), বাবুল (২৪), আসাদ (৪৩), রাশেদুল বিটু (৩০), ওহাব নানা(৬২), সামাদ (৫০), দীপু (২০), মকবুল মঙ্গল (২৭) সহ মোট ১০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দূর্ধর্ষ ডাকাত দল কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন বলসুতা ও অভ্রখোলা এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন বাস্তা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়িতে একের পর এক ডাকাতি করে আসছিলো।
সশস্ত্র এই ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ফেলে। বাড়ির পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেধেঁ ফেলে। তারপর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ির আলমিরি, শো-কেজসহ সবকিছু ভেঙে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও দামি কাপড়-চোপড় এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।
সশস্ত্র এই ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ফেলে। বাড়ির পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেধেঁ ফেলে। তারপর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ির আলমিরি, শো-কেজসহ সবকিছু ভেঙে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও দামি কাপড়-চোপড় এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।
ডাকাতি শেষে বাড়ির সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে যায়। কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদল ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের বাধাঁর সম্মুখীন হলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। দুর্ধর্ষ এইসব ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় ডাকাত দলের সর্দার যাকে ডাকাত দলের সদস্যরা ‘মাস্টার’ বলে সম্মোধন করে।
ভুক্তভোগীরা জানায় ডাকাত দলের সদস্যরা যে যা খুজেঁ পায় (স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা) সব তাদের ‘মাস্টারের’ কাছে নিয়ে জমা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে টিম গঠন করে একটি তদন্ত দল ডাকাত ‘মাস্টার’ গ্রুপকে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।
তদন্ত দল প্রতিটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয় যে, ডাকাত সর্দার ‘মাস্টার’ এর নেতৃত্বে একটি ভয়ঙ্কর ডাকাতদল সবগুলো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। একপর্যায়ে তদন্ত দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ এই ডাকাতচক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তদন্ত দল প্রতিটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয় যে, ডাকাত সর্দার ‘মাস্টার’ এর নেতৃত্বে একটি ভয়ঙ্কর ডাকাতদল সবগুলো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। একপর্যায়ে তদন্ত দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ এই ডাকাতচক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডাকাতদলের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা পুলিশের চোখকে ফাকিঁ দেওয়ার জন্য মাছ ধরার জাল সাথে রাখে এবং কোথাও পুলিশ টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে পেশায় জেলে এবং মাছ ধরতে যাচ্ছে বলে জানাতো।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও ডাকাতির অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদকঃ রিফাত হোসেন
আরো পড়ুনঃ ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে হযরতপুরে সংঘর্ষ