প্রতিবেদকঃ মোঃ রাহাত হোসেন
ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচর লাবনী পয়েন্ট এলাকায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে সৌমেন চন্দ্র দাস (৩২) নামে এক কর্মচারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সৌমেন পিরোজপুর নাজিরপুর এলাকার শাখারিকাঠি গ্রামের সুকুমার দাসের পুত্র। এ ঘটনায় নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসারত হযরত (২০)নামের এক যুবককে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। আটক হযরত মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার আজিজখান রোডের ক্যান্সারগলির বাসিন্দা আবু রাসেল হাসেমের ছেলে।
শুক্রবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ঘাটারচর শ্যামলাপুর এলাকার আমাদের প্রত্যাশা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ভিতর এই ঘটনা ঘটে। নিহত সৌমেন নিরাময় কেন্দ্রে সেবক হিসেবে কর্মরত ছিল।
জানা গেছে, নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজার আজিজ খান রোড এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে হযরতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিরাময় কেন্দ্রের সেবক সৌমেন দাসের উপর ছিল। চিকিৎসাকালীন সময়ে অতিরিক্ত মানসিক টর্চারের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে হযরত সৌমেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
সরেজমিন প্রত্যাশা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সমন্বয়ক সৈয়দ ইস্কান্দার আলী জানান, সকাল সোয়া ৭টার দিকে আমাদের কেন্দ্রের স্টাফ সৌমেন দাসকে মাদকাসক্ত রোগী মো. হজরত ছুরিকাঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমি পরে ৯৯৯ এ কল করি। এ সময় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওতাধীন আটি বাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কর্তব্যরত পুলিশ এসে হজরতকে আটক করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন আটি বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ইমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিরাময় কেন্দ্রের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে হত্যায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীর মৃত্যু