হাসনাত আব্দুল্লাহ

ত্রাণের টাকা নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বন্যার্তদের সহায়তায় তোলা ত্রাণ ও টাকা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

গত আগস্টে বন্যা শুরু হওয়ার পর বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে টিএসসিতে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু সাম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ভ্রমণ শুরু করলে ত্রাণের টাকার হিসাব নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। যদিও গত ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হিসাব দেওয়া হয়েছিল।

এই সমালোচনার জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ত্রাণের অবশিষ্ট টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের বিশেষ অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচার ছাড়া সেই টাকা তোলা যাবে না।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি এসব জানান। এ সময় তিনি গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করতে আগ্রহী বলেও জানান। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি ত্রাণের টাকা নিয়ে অডিট রিপোর্ট পেশ করার কথাও বলেন।

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামী ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।

তিনি লেখেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

এই সমন্বয়ক আরও লেখেন, আমরা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনও বিশেষ ভুল বোঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মডেল।