নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় কারণ বিএনপি: ইসি

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় কারণ বিএনপি: ইসি

রাজনীতি

দ্বিতীয় দফার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ভোটের হার কেমন হবে তা নিয়ে আগাম কোনো কথা বলতে পারছেন না নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে প্রথম দফায় ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে বড় দুটি কারণের কথা উল্লেখ করে ইসি বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোট কম পড়ার বড় কারণ হলো বিএনপির ভোট বর্জন। কারণ, দলটি ভোট বর্জন করায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে যাননি।

রোববার (১৯ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ইসি মো. আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে বলা যাবে না।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। প্রথম দফার ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ভোটের হার কম হওয়ার পেছনে ধান কাটার মৌসুমের কথা বললেও তা মানতে নারাজ ইসি আলমগীর। তিনি বলেন, ধান কাটার মৌসুম ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ, বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে (গত ৮ মে) তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালের বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি। এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছেন, এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতে পারবেন। ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় কারণ বিএনপি। কারণ তারা ভোট বর্জন করায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না। তবে বিএনপি একমাত্র কারণ না। বিশেষ করে আরেকটা বড় কারণ হলো, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে ভোট দিতে আসতে চায় না।

ইসি আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতে সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হলফনামায় ভুল কিছু বলা হলে আইনে শাস্তির কিছু বলা নেই। তবে এখানে প্রার্থী শপথ করে। কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে যেকোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন প্রমাণ হলে। তবে ইসির কিছু করার নেই।

মো. আলমগীর আরও বলেন, আমরা আশা করি আমাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

আরো পড়ুনঃ ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের