নৌকা এর বন্ধনে এক হলো কামরুল-শাহীন

জাতীয়

দীর্ঘদিনের ভেদাভেদ ভুলে অত:পর ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ একই মঞ্চে মিলিত হয়ে নিজেদের মাঝের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে মিলিত হয়েছেন নৌকা এর বন্ধনে।

আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে নৌকার সমর্থনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এড কামরুল ইসলাম ও শাহিন আহমেদ এক মঞ্চে উপবিষ্ট হয়ে নিজেদের দ্বন্দ্ব নিরসনের কথা জানিয়ে উভয়ে নৌকার পক্ষে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার ঘোঘনা দেন।

এদিকে, দুই নেতার দ্বন্দ্বের কারনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন দুই ভাগে বিভক্ত। অবশেষে তারা নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে।

জানা যায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা ২ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কামরুল ইসলাম ও শাহীন আহমেদ। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান কামরুল ইসলাম। তিনি টানা ৩ বার এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরে দুই নেতার মাঝে বিরোধ দেখা দেখা দেয়। দুই মেরুতে অবস্থান নেন তারা। নেতাকর্মীরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কামরুল ইসলাম ও শাহীন আহমেদ। কিন্তু শেষমেষ এবারও নৌকা পান কামরুল ইসলাম। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে শাহীন আহমেদ ঢাকা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
দ্বন্দ্ব ভুলে এক মঞ্চে মিলিত হওয়ার বিষয়ে শাহীন আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। তার কথা শিরোধার্য। আমার কর্মী সমর্থক সবাইকে ঢাকা-২ আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানাই।
কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ বড় একটি গনতান্ত্রিক দল। এখানে গ্রুপিং আছে, প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, আমাদের সবার নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদও নৌকার লোক। আমরা এক হয়ে নৌকার জন্য কাজ করবো। তিনি আরও বলেন, বিএনপি মিলিটারি কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চায়। কেরানিগঞ্জের মাটিতে বিএনপি জামায়াত থাকবে না।

আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জ এ (KBFC) এর চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন