কাউসার আহমেদ বিহন, কুয়েত –
করোনা মহামারীর সময় কুয়েতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে আকামা নবায়ন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসীদের। ঠিক সেই মুহূর্তে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়ে অর্থাত ম্যানুয়াল এক্সটেশন বা খারিজিয়া করে আকামা নবায়নের সুযোগ দিয়েছিলো কুয়েত সরকার। বর্তমানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী পহেলা জুন থেকে সেই সুযোগ বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে- আগামী পহেলা মে থেকে খারিজিয়ার মাধ্যমে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে কুয়েত। এ কারণে আর্থিক ও আইনি ঝামেলা এড়াতে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পাসপোর্ট নবায়নের অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অবঃ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
তিনি জানান, করোনার সময় থেকে আমাদের পাসপোর্ট ম্যানুয়াল ভাবে নবায়নের একটি পদ্ধতি চালু ছিলো। করোনার সময় অনেক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে আমরা প্রবাসীদের সুবিধার্থে পাসপোর্টের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতাম। দূতাবাস থেকে একটা পেপার দেওয়া হলে সেটা কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস থেকে খারিজিয়ার মাধ্যমে আকামা লাগানো হতো। কিন্তু কুয়েত সরকার জানিয়েছে আগামী পহেলা জুন ২০২৪ থেকে এই ম্যানুয়াল পদ্ধতি তারা আর গ্রহণ করবে না। তাই আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ মে থেকে এটা বন্ধ করে দেবো।
প্রবাসীদের আকামা নবায়নের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হয় কমপক্ষে এক বছর। এক বছর থেকে একদিন কম হলেও সেই পাসপোর্ট দিয়ে আকামা নবায়ন করা যায় না। অনেক প্রবাসীর পাসপোর্ট কোম্পানি অথবা কফিলের (মালিক) কাছে জমা থাকলে খেয়াল না রাখার কারণে ১ বছর থেকেও কম সময় হয়ে যায় পাসপোর্টের মেয়াদ। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে দেশটির আইনে দৈনিক দুই দিনার করে গুনতে হয় জরিমানা।
