এক সময় ঢাকা লীগের নামীদামী ক্লাবের হয়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়াতো কেরানীগঞ্জের ফুটবলাররা। জাতীয় দলের হয়ে খেলা আয়ুব আলী, মনসুর আলী,আহম্মদ, আবাহনীর রজ্জব, ওয়ারীর দিপক ঘোষ,অগ্রনী ব্যাংক এর ইকবাল, মমতাজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর শাহ খুশি, ননী,বাদলসহ প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলো কেরানীগঞ্জের। তাছাড়া খেপ খেলেও ব্যপক সুনাম কুড়িয়েছেন কেরানীগঞ্জের ফুটবলাররা।
তবে দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে অবনয়ন হাওয়া দেশের ফুটবলের পাশাপাশি নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে খুঁজছে রাজধানী ঘেঁষা এই দ্বীপের ফুটবল সংশ্লিষ্টরাও।
নজরুল হামিদ স্পোর্টস একাডেমী, কেরানীগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, ভাওয়াল একাডেমি, তালেপুর একাডেমিসহ বেশ কিছু ফুটবল একাডেমি নিজেদের মত করে কাজ করছে ফুটবল উন্নয়নে। এবার তাদের সাথে যুক্ত হলো সোনাকান্দা ফুটবল একাডেমি নামে আরও একটি ফুটবল স্কুল।
দিপালির হয়ে প্রথম বিভাগে খেলা ফুটবনার শাহীন কবিরের তত্বাবধানে প্রায় ৬০/৭০ জন খুদে ফাটবার নিয়ে গতবছরই যাত্রা শুরু করেছে একাডেমিটি। কোচ শাহীন কবির স্বজন ও প্রবাসী বন্ধুদের সামান্য সহযোগিতায় খুদে ফুটবলারদের নিয়ে নিয়মিত প্রাকটিস করছেন সোনাকান্দা জাগরণী মাঠে।
সরকারি বা বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে কেরানীগঞ্জের পাশাপাশি দেশের ফুটবলের ঐতিহ্য ও সুদিন ফিরে আনতে অবদান রাখবে সোনাকান্দা ফুটবল একাডেমি বিশ্বাস এ কোচের।
কেরানীগঞ্জের ফুটবলের পরিচিত মুখ শাহীন কবির জানান, কেরানীগঞ্জের ফুটবল তথা দেশের ফুটবল এভাবে হারিয়ে যাবে আমরা সাবেক খেলোয়াড় হয়ে এটা মানতে পারিনা। তাই সাবেক জাতীয় ফুটবলার আইয়ুব আলী, ইউসুফ আলী, হাজী রজ্জব,দিপক ঘোদের নিয়ে নিয়ে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিভাবে দেশের ফুটবলের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। আমি আশাবাদী দেশের ফুটবলে আবারও আলো ছড়াবে কেরানীগঞ্জের ফুটবলাররা।