নতুন বছরের শুরুতেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তবে কমছে ডেঙ্গু রোগী।
বছরের প্রথম দুদিনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে ৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে শতকের নিচে এসেছে। বছরের প্রথম দিন ডেঙ্গু মৃত্যুশূন্য ছিল। পরের দিন গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪ শতাংশ। এ সময় ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর গত দুদিনে করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হলো ৩৮ জনের। দুদিনে রোগটিতে কেউ মারা যায়নি।
তিন দিন ধরেই করোনা শনাক্তের হার ৪ শতাংশ করে। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শনাক্তের হার ছিল ২ শতাংশ। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সে বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথমবারের মতো একজন মারা যায়।
এরপর এখন পর্যন্ত গত তিন বছর ৯ মাসে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩০ ও মারা গেছে ২৯ হাজার ৪৭৭ জন।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬০ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকায় ও ৪৭ জন ঢাকার বাইরে।
এ নিয়ে এ বছর গত দুদিনে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে। তাদের মধ্যে ৩৯ জন ঢাকার ও ১০৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। রোগীর মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৪৭ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার বাইরে ছিল মৃত্যুশূন্য। এর আগে বছরের শুরুর দিন গত সোমবার ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। ফলে এ বছরের প্রথম দুদিনে মারা গেল একজন। মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ও মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন। এ সংখ্যা দেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের গত ২৩ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর আগে সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এরপর ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ ও ২০২১ সালে ২৮ ৪২৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ২০২২ সালে ২৮১ জনের। এরপর ২০১৯ সালে ১৭৯ ও ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যায়।