আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেন।
আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় যা যা থাকছে-
বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
জুলাই গণঅভ্যুথানে শহীদ ও আহত ছাত্র জনতা এবং তাদের পরিবার বর্গকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণপূর্বক বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে;
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পন সংক্রান্ত নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংশোধন অন্তে প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে;
সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগযোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের ০৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে;
চলমান প্রকল্পসমূহ যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথান ও শহিদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রনয়নের উদ্দ্যোগ নেয়া হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ/আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সংগঠিত হওয়া এবং সমন্বয়কদের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণ এর উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে।
তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে;
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহিদের উপর পরিচিতি ভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির উপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কার ভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যম সহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা ভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে;
চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে;
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮ এর কতিপয় ধারা সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কতিপয় ধারা সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকুরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুততার সাথে অব্যাহত রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
আরোও পড়ুনঃ একমাসে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে : ড. ইউনূস