আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ বিমান যাত্রী আটক ও বিমান জব্দ

আইন ও আদালত

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকা বাজার মূল্যের ২০ পিস গোল্ডবার সহ এক চোরাচালনকারীকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল আটক করেছে বলে জানা যায়। এসময় চোরাচালানকৃত স্বর্ণবার পরিবহণ করার দায়ে বিমানটিও জব্দ করা হয়।

 

চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল এর কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ, এনএসআই, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিমের সহযোগিতায় ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুবাই থেকে আগত বাংলাদেশ বিমান এর ফ্লাইট নং-BG-148 তে তল্লাশী করে বিমানটির 9J সিটের নীচ থেকে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় কালো স্কচটেপে মোড়ানো দুইটি প্যাকেট পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত দুটি প্যাকেট কাস্টমস কাউন্টারে এনে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে খুলে তাতে ২০ (বিশ)টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা এসব স্বর্ণবারসমূহ স্বর্ণকার দ্বারা পরীক্ষা করলে তাতে ২৪ ক্যারেট মানের ২.৩২ কেজি (প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম) স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকা।

বিল্লাল হোসেন আরো বলেন, 9J সিটের যাত্রী আতিয়া সামিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে, বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তিনি অনলাইন স্বর্ণ ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে মৌখিকভাবে স্বীকার করেন এবং তাঁর ভিজিটিং কার্ডেও অনুরুপ তথ্য পাওয়া যায়। যাত্রী আতিয়া সামিয়া এর বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, চোরাচালানকৃত স্বর্ণবার পরিবহণ করায় এয়ারক্র্যাফটিও চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত। তাই স্বর্ণবারসমূহ আটকের পাশাপাশি ফ্লাইট নং- BG-148 (Boeing 777- ER, রেজিঃ নং-S2-AFQ) এর এয়ারক্র্যাফটিকেও কাস্টমস আইন, ২০২৩ মোতাবেক আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১,০০০ কোটি টাকা।

 

আটককৃত পণ্যের মূল্য এক হাজার দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকা, যা ন্যায়-নির্ণয়নের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনারে নিকট হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।