ছাত্রশক্তি

উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফদের ‘ছাত্রশক্তি’র সকল কার্যক্রম স্থগিত

জাতীয়

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির আলোচনার মধ্যে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এই ছাত্র সংগঠনটি থেকেই মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ওঠে আসা।

শনিবার দিবাগত রাতে সংগঠনটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। এ সংগঠনটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। নাহিদ ইসলাম সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন একটি গণমাধ্যমে বলেন,  ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না এবং আমাদের ফেসবুক পেজেও আমরা কোনো ধরনের প্রেসরিলিজ দেইনি। আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাস গুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে— তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেয়া হবে এবং কার্যক্রমও স্থগিত করা হবে।

তিনি বলেন,  ‘মূলত আগামীতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে, তার ওপরেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম নির্ভর করছে এবং তখন যারা দায়িত্ব পালন করতে চাইবেন, তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।’

‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র নেতৃত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। মোট ৩১ জনের কমিটি ছিলো। তাদের সকলেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন।

এদিকে ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলছে। শুক্রবারও তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এটি মেনে নেব না।

২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করলো।