এক হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে আরেকটি হত্যার রহস্য উদঘাটন

কেরানীগঞ্জ

ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে আরো একটি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে কেরানীগঞ্জ  থানা পুলিশ।

জানা যায়,  গত ১৭ জানুয়ারী ৯৯৯ এর মাধ্যমে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পারে যে, মালিভিটায় একটি ফ্ল্যাট বাসার ২য় তলার দক্ষিণ পাশের রুমে কামরুন নেছা (৫৬) নামক বয়স্ক মহিলা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে আছে।

পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরন করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ ধারনা করে যে, অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিম কামরুন নেছার মাথায় রক্তাক্ত জখম এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

এ ঘটনায় শাহরিনা মমতাজ শামীম (৪৭) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

এরপরে গত ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ খুনের ঘটনায় আসামী মকবুল কে গ্রেপ্তার করে। দক্ষিণ  কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ আসামী মকবুল হোসেন-কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়।

অপহরনের ঘটনায় মুক্তিপন আদায়ের জন্য আসামী মকবুল যে মোবাইলটি ভিকটিম তাওহীদ-দের বাসায় রেখে এসেছিল সেই মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে মকবুল ভিকটিম কামরুন নেছার পূর্ব পরিচিত এবং তাকে নানী শাশুরী বলে ডাকে।

পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় কামরুন নেছা হত্যার দিন মকবুল ঘটনাস্থলে ছিল। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মকবুল জানায় কামরুন নেছা নামক বয়স্ক মহিলাকে সে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে।

ডিসিষ্ট কামরুন নেছা ও আসামী মকবুল পূর্ব পরিচিত থাকায় কামরুন নেছা-র বাসায় আসামীর আসা-যাওয়া ছিল। মকবুল বিদেশে যাওয়ার জন্য কামরুন-নেছার কাছ থেকে টাকা ধার নেয় কিন্তু বিদেশে যেতে না পারায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কামরুন নেছা মকবুলকে তাগাদা দেওয়ার এক পর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে আসামী মকবুল কামরুন নেছার মাথায় বাড়ি দেয় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

আরো পড়ুনঃ পরীক্ষার হলে অসুস্থ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু