বাল্যবিবাহ

কেরানীগঞ্জে কাজীর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ

আইন ও আদালত আগানগর কেরানীগঞ্জ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা দারুস সালাম এলাকায় ১৩ বছরের কিশোরীকে বাল্যবিবাহ করানোর অভিযোগ উঠেছে আগানগর ইউনিয়নের সহকারী কাজী মোঃ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, রবিবার সন্ধায় ১৩ বছর বয়সী কিশোরী লাবণ্যর সাথে আগানগর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা রানা মিয়ার ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন এই সহকারী কাজী। শুধু তাই নয় এর আগেও বিভিন্ন রকম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ন করানোর কাজে এই কাজী জড়িত আছেন বলেও জানা যায়।

এদিকে কিশোরী লাবণ্যর পরিবার জানায়, দরিদ্র পরিবারের পক্ষে মেয়ের ভরণ-প্রসন করা সম্ভব না হওয়ার কারণে বিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা। কাজী মোঃ সিদ্দিকের তাদের পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে সে গোপনে বিয়ে করান বলেও পরিবার স্বীকার করেন। এছাড়াও তার বড় বোনের বিয়ের সময়ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে কাজী মোঃ সিদ্দিকের ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে জাল জন্মসনদ তৈরি করে বিয়ের কাজ সম্পূর্ন করেন। ঠিক একই পন্থায় কিশোরী লাবণ্যর বিয়েতে কাজী আব্দুস সালামকে দিতে হয়েছে মোট ৮ হাজার টাকা।

এদিকে সংবাদ কর্মী ও ছাত্র-জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে কাজী মোঃ সিদ্দিকের গা ঢাকা দিলেও পরবর্তীতে তাকে পাওয়া গেলে কথপোকথনে তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ আগে কিশোরী লাবণ্যর বাবা মা তার কাছে আসলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে সে প্রথমে বিয়ে করাতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু সেদিন অনেক অনুরোধ করার পর সে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী সরা কাবিন পড়ান। এদিকে লাবণ্যর পরিবারের দাবি ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে কাজী মোঃ সিদ্দিকের বিয়ে করিয়ে থাকলেও কাজী মোঃ সিদ্দিকের এটি অস্বীকার করেন।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রইছ আল রেজোয়ান (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব) জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা কাজীর নিবন্ধন বাতিল সহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরোও পড়ূনঃ শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেন গণকবরে পরিণত করেছেঃ রিজভী