ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আসন্ন আওয়ামী যুবলীগের ইউনিয়ন সম্মেলনকে ঘিরে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তার অলিগলি। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন পেয়ে উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে জোর প্রচারণা ও লবিং শুরু করেছে অনেকে। কোন উপলক্ষ পেলেই নিজেদের জনপ্রিয়তা জানান দিতে শোডাউন করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। আগামী ২০ মে শাক্তা এবং ২১ মে হযরতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ঢাকা-২ এর এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপির।
হযরতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদে একাধিক নাম জোরেসোরে শুনা যাচ্ছে, তাছাড়া অনেকে ভেতরে ভেতরেও লবিং করছে। এদের মধ্যে জোড় প্রচার ও লবিং চালাচ্ছে বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি মো: হুমায়ন কবির। জানা যায় , হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক ও বিষ্ফোরক মামলা।
বিষ্ফোরক ও মাদক মামলার আসামী যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে জোর প্রচারণায় জনমনে আতংক সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা জানান, সভাপতি হলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা বিরোধী হুমায়ুন প্রকাশ্যে বহু নৌকা সমর্থককে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলার সীমানা ঘেঁষা হযরতপুর ইউনিয়ন তথা পশ্চিম কেরানীগঞ্জ ও সিংগাইর উপজেলায় ৩ টি ইউনিয়নে মাদক কারবারি হিসেবে ব্যাপক পরিচয় রয়েছে হুমায়ুন কবিরের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন পর জেল থেকে বেরিয়ে আবারও শুরু করেন মাদক ব্যবসা। ২০২০ সালের ৬ মার্চ মাদকসহ আবারও গ্রেফতার হয় হুমায়ুন। তাছাড়া বিগত ২৯ নভেম্বর ২০২১ সালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি এবং একই বছর হত্যার হুমকি, মারামারি,ভাঙচুর,লুন্ঠনের অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে।
তবে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা জানিয়েছেন সে কমিটির কেউ না।
এ বিষয়ে হুমায়ন কবিরের সাথে কথা হলে কেরানীগঞ্জের আলো কে তিনি জানান, মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা, এগুলা কোন সমস্যা না। রাজনৈতিক মামলা তার পদ পেতে কোন সমস্যার সৃষ্টি করবে না।
আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জে চোরাই মোবাইল বিক্রয় চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার ; ২০ টি মোবাইল উদ্ধার