জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, বিকাল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

জাতীয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ বুধবার (১৭ ‍জুলাই) উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়েছে। সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

উপাচার্য আরও বলেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইউজিসি এক অফিস আদেশে জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদানের নিমিত্তে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা।

গুলিবিদ্ধ চার শিক্ষার্থী হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক তালুকদার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের নাসিম ও কবি নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান।

ঢাকা মেডিকেলে অবস্থান করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ম্যানেজেন্ট বিভাগের ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থী মধ্যে ফেরদৌস হাসানের শরীর থেকে গুলি বের করে তাকে বেডে দিছে কিন্তু অনিক তালুকদারের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরে গুলি ভেদ করে চলে যাওয়ার কারণ তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অপর শিক্ষার্থীদের শরীর থেকে বুলেট বের করে তাদের বাসায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপর গুলিবিদ্ধ মেহেদী হাসানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তাকে প্রথমে মুগদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে একটি বেসরকারি মেডিকেলে নেওয়া হয়। কিন্তু তার শরীরের ভেতরে গুলি থাকায় তারা আর সাহস করেনি। পরবর্তী তাকে এখন ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি।

আরো পড়ুনঃ বায়তুল মোকাররমে বিএনপির ডাকা গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত