জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র র্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যোগদান করেন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালির উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি এডভ্যােকেট নিপুন রায়ের নির্দেশে জিঞ্জিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নেসার উদ্দিন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক অন্যতম সদস্য মোঃ সোহেল আহমেদ, জিঞ্জিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম জুনু ও জিঞ্জিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ সাদ্দাম হোসেন এর নেতৃত্বে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জিঞ্জিরা ইউনিয়নের কদমতুলি এলাকা থেকে জিঞ্জিরা ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে সহস্রাধীক নেতা-কর্মীর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রওনা হন।
এসময় মোঃ নেসার উদ্দিন বলেন, বিএনপি সুসংগঠিত একটি জনমানুষের দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও বিএনপি সফল ছিল আবারও সফল হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আজকে বর্ণাঢ্য র্যালিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণ এটাই প্রমাণ করে যে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।
মোঃ সোহেল আহমেদ বলেন, গত ষোল বছরে এই দিনটি আমাদের পালন করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। এবার মুক্ত পরিবেশে সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছে। এখান থেকে একটাই বার্তা দেয়া হয়েছে- তা হলো নির্বাচনের স্পষ্ট তারিখ বা রোডম্যাপ চায় মানুষ। কারণ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হবে না আর গণতন্ত্রের জন্যই লড়াই করেছে মানুষ।
মোঃ আমিনুল ইসলাম জুনু বলছেন শুক্রবার ‘বিশাল সমাবেশ ও জনস্রোত’ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের আকাঙ্ক্ষার বার্তা দিয়েছে এবং এখন সরকারের উচিত হবে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার হওয়া এই সমাবেশটি শেষ হয়েছিলো মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে। সেখানে মোঃ সাদ্দাম হোসেন আরোও বলেন, “আমাদের সামনে জাতীয় সংসদ। এত দিন মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দিয়ে এই সংসদে জনগণের প্রতিনিধি পাঠাতে চায়। এই বার্তা আমরা দিতে চাই। এটাই এই র্যালির উদ্দেশ্য।”
আরোও পড়ুনঃ দেশে থাকতে চায় না ৫৫ শতাংশ তরুণ