জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন পালন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আগানগর ইউনিয়ন নাগরমহল এলাকায় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রধান কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা বিগত দিনে বহু নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আমরা কোনো বড় প্রোগ্রাম সভা সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের মামলা হামলা দিয়ে বাড়ির বাইরে রেখেছে আওয়ামীলীগ। আজ আমরা দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আয়োজন করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটতে পারছি।
তারা আরো বলেন, আমরা বাক স্বাধীনতা পেয়েছি, কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের এখন এই স্বাধীনতার সম্মান রক্ষা উচিত। বিগত দিনের স্বৈরাচারের দোসরদের মতো চাঁদাবাজি হামলা করার মতো অপকর্ম করা থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকতে হবে। আমরা যেন জিয়াউর রহমানের আদর্শ, বেগম জিয়ার দিকনির্দেশনা নিয়ে চলে তারেক রহমানের হাতকে জোরদার করতে পারি এই লক্ষেই আমাদের আগানো উচিত।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন আগানগর ইউনিয়নের সভাপতি সম্রাট শেঠ বলেন, আমাদের এই সংগঠন পুরনো সংগঠন, আমরা কোনো আয়ের জন্য রাজনীতি করিনা। আমরা কেউই কখনও কোনো অর্থের জন্য রাজনীতি করবো না। আমরা অবশ্যই আমাদের নীতি ধরে রেখে রাজনীতি করবো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সিদ্দিক হোসেন খান বলেন, সভাপতি আজকে আমরা একসাথে হওয়ার কারণ হলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উদযাপন এবং দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া মোনাজাত করা। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন। আমরা প্রত্যেকে সম্মিলিত ভাবে প্রত্যেকের প্রচেষ্টায় তারেক রহমানের ৩১ দফা সফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাবো।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের বক্তব্যের শেষে দোয়া মোনাজাতের পাশাপাশি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
এসময় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন কেরানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোঃ সিদ্দিক হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মামুন শেঠ, সিনিয়র সহ সভাপতি তুহিন চৌধুরী, সহ সভাপতি মোঃ সোহেল চৌধুরী, আজহারুর রহমান, আসলাম হোসেন, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন আগানগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সম্রাট শেঠ সহ কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।