ট্রাক ভাবাচ্ছে আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড: কামরুল ইসলাম কে

কেরানীগঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা দুই আসনে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করছেন এই আসনের টানা তিনবারের সাংসদ ও আওয়ামীলীগ এর  প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড: কামরুল ইসলাম। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মাঠে তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ট্রাক মার্কার প্রার্থী ডা: হাবিবুর রহমান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডা: হাবিবুর রহমান নির্বাচন করার কারনে নৌকা প্রতীক পেয়েও জয়ের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না এ্যাড: কামরুল ইসলাম এমনটাই জানা যায়, এই আসনের সংশ্লিষ্ট অনেক ভোটার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সাথে কথা বলে।

সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, বিএনপি সহ বেশ কিছু দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ করতে বদ্ধ পরিকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বেশ কয়েকটি সংসদীয় আসনে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার কারনে নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ন ও জমজমাট হবে। ঢাকা দুই আসন তাদের মধ্যে একটি।

আওয়ামীলীগ এর  প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম এই আসনের টানা তিনবারের সাংসদ হলেও ডা: হাবিবুর রহমানের ও জনপ্রিয়তা রয়েছে এই আসনে। ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে এবং নির্বাচন শতভাগ অবাধ সুষ্ঠ হলে ডা: হাবিবুর রহমান বিজয়ী হতে পারে এমন ধারনা অনেকের।

সরেজমিন ঢাকা দুই আসনের কেরানীগঞ্জ ,কামরাঙ্গীচর সাভার এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত উভয় প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনে অন্যন্য প্রার্থী থাকলেও ঢাকা দুই আসনে নৌকা আর ট্রাকের প্রচারনা বেশি। ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনকে ঘিড়ে উত্তাপ উত্তেজনা বিরাজ করছে আগামী ৭তারিখের নির্বাচনকে ঘিড়ে।

শাক্তা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ নামে এক ভোটার জানান,আওয়ামীলীগ এর  প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডঃ  কামরুল ইসলাম ভালো মানুষ, তারমতো বিচক্ষন লোক আমাদের এখানে দরকার, এলাকায় তিনি উন্নয়ন করেছেন, আমরা আবারো তাকেই ভোট দিবো

কামরাঙীচরের সাইফুল ইসলাম নামে একজন জানান, বিগত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেই তুলনায় ঢাকা দুই আসনে তেমন উন্নয়ন হয় নি, এর কারন কামরুল ইসলাম ঢাকা দুই আসনর স্থানীয় সন্তান না। ডা: হাবিব এখানকার মানুষদের জন্য গত ২০ বছর যাবত নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমরা তাকেই ভোট দিবো।

কলাতিয়ার কালাম নামে এক ভোটার জানান, কামরুল ইসলাম ভালো মানুষ, তবে তিনি এলাকায় কম আসেন এটা একটা সমস্যা, কেরানীগঞ্জের এক অংশে বিপু সাহেব গত ১৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছে ঢাকা ২ আসনে  কামরুল সাহেব সেই তুলনায় কিছুই করতে পারে নি।

অন্যদিকে ডা: হাবিব এলাকার মানুষদের বিনামূল্যে ফ্রি চিকিৎসা সহ নানা সামাজিক কাজ করে আসছে অনেক দিন ধরেই। অনেকেই চায় ডা: হাবিব নির্বাচিত হোক, নির্বাচনটা কামরুল ইসলামের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সব সিদ্ধান্ত হবে আগামী ৭ তারিখ, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে কি না, কাকে ভোট দিবে, সব ৭ তারিখেই দেখা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাক মার্কার প্রার্থী ডা: হাবিবুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে যিনি এলাকার এমপি হিসেবে রয়েছেন তিনি এখানকার স্থানীয় কেও নন, যার কারনে তার এলাকার প্রতিটান নেই, তেমন উন্নয়ন হয় নি।

এলাকার মানুষ চায় এবার ঢাকা দুই থেকে স্থানীয় কেও নির্বাচিত হোক, তাদের দাবীর প্রেক্ষিতেই আমি নির্বাচনে দাড়িয়েছি। আমি বিগত ২০ বছর যাবত এলাকার মানুষের জন্য নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি , এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য মানবিক কাজ করা আমার জন্য আরো সহজ হবে। 

এ্যাড: কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন চাপ অনুভব করছি না। ৭ তারিখে একটি অবাধ সুস্ঠ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। আমার কাছে ঢাকা দুই আসনের সব প্রার্থীই সমান।আবারো আমি এই আসন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দিবো।

আরো পড়ুনঃ আবারও দাম বাড়ল ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা