দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করার জন্য রাস্তা কেটে ফেলে রাখায় কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের নাগরমহল রোডটি বেহাল অবস্থা। এতে করে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে এই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন এর।
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর আলম মল মার্কেট থেকে তানাকা সুপার মার্কেট পর্যন্ত রাস্তাটি গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন রাস্তা। নাগরমহল বাসীর ব্যবহারের একমাত্র রাস্তা এটি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর দুইয়েক আগে রাস্তা পূর্ন নির্মানের জন্য সুয়ারেজ খালের সংস্কারে উদ্দেশ্যে রাস্তা খুড়ে সুয়ারেজ লাইনের কাজ করে আগানগর ইউনিয়ন পরিষদ। এর পর পর ই রাস্তা সংস্কারের কাজ হবার কথা থাকলে রাস্তা সংস্কারের কাজে আর হাত দেয় নি প্রশাসন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নাগর মহলের রাস্তাটি যানচলাচল তো দূরে থাক মানুষজন হাটার জন্যও অযোগ্য। পুরো রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। কাদার কারনে লোকজন অনেক কষ্ট করে রাস্তার একপাশ দিয়ে হেটে চলাচল করছে।
ভ্যান চালক জব্বার সাথে কথা হলে তিনি যানান, এই রোডে দীর্ঘ দিন ধরে ভ্যানে করে থান কাপড় আনা নেওয়া করেন তিনি। দুই বছরের বেশি সময় রাস্তা বন্ধ থাকায় এখন মাল আনা নেওয়া করতে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুড়ে আসতে হয় এতে অনেক কষ্ট করতে হয় তার।
টোকিও টাওয়ারের ব্যবসায়ী মো: আবিদ জানান, মার্কেটের সামনে রাস্তা নষ্ট থাকায় এখানে কোন গাড়ি ঘোড়া চলাচল করে না, ফলে কাষ্টমার ও আসে না এখন। ঈদের সময় এই রাস্তার কারনে কাস্টমার কম আসায় আমাদের অনেক লস হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটা বন্ধ কিন্তু কারো কোন নজর নাই এদিকে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: বাচ্চু জানান, এটা আমাদের নাগরমহল বাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি নষ্ট। রাস্তাটা আগে ভালো ছিলো কিন্তু বছর দুই আগে সোয়ারেজের কাজ করার জন্য রাস্তাটি ভাঙা হয় । এরপরে পুরো রাস্তাটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের প্রতিনিয়ত কষ্ট করতে হয় । এখন বৃষ্টির দিন পুরো রাস্তায় কাদা আর পানি। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেও নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আগানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশি বলেন, রাস্তাটির কাজ ইউনিয়ন পরিষদের আন্ডারে না, জেলা পরিষদের আন্ডারে। তাই আমরা কাজ করতে পারি না। শুনেছি টেন্ডার হয়েছে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
রাস্তাটির কাজের টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার জাহীদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কাজটার ওয়ার্ক ওয়াডার ই হয় নাই । এতো দিন টেন্ডার ও হয় নাই। তবে আমরা আগে থেকেই কাজটা ধরতেসি যেন কাজটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। ৯৯ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারনে রাস্তার কাজ দেড়ি হয়েছে এতো দিন। দীর্ঘ দিন টেন্ডার দেড়ি হবার বিষয়ে তিনি বলেন, টেন্ডার তো আমাদের প্রক্রিয়া না, এটা গভমেন্টের বিষয়। গভর্মেন্ট টেন্ডার দিয়েছে দেড়িতে, আমরা পার্টিসিপেট করেছি, টেন্ডার পেয়েছি। দ্রুত সময়ে কাজটা শুরু করবো।
রাস্তাটির কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঢাকা জেলা প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর রহমান বলেন, এটা এক দেড় মাস আগে ওয়ার্ক অডার হয়েছে। আমি সাইট ভিজিট করেছি। ঠিকাদার মালামাল মেশিন পত্র যোগাড়ের কাজ করছে। দ্রুত পুরাতন ঢালাই টা ভাঙা হবে। তারপরে আমরা কাজ শুরু করে দিবো।
আরো পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জ থেকে রাজধানীতে ঢুকতে পুলিশের ব্যাপক তল্লাশী