সেচ প্রকল্পে চাঁদা দাবি, বিএনপির ২ নেতাকে গণপিটুনি

লাইফ স্টাইল সম্পাদকীয়

কৃষি জমির সেচ প্রকল্পে চাঁদাবাজি করার সময় দুই ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতিকে পানিতে চুবিয়েছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় এক মহিলা মেম্বারসহ ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেন ওই দুই নেতাকে।

বিএনপির দুই নেতা হলেন- মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার।
এ ঘটনায় আহত সেচ প্রকল্পের মালিক আহাদ আলী বাদী হয়ে বিএনপি নেতা তারা মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত গ্রামবাসীদের উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউপির  বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ দীর্ঘ দিন ধরে জহিদ্দার বিলে ইরি ধানের জমিতে পানি সেচ করে আসছিল। তারপর থেকে বালিগাও গ্রামের হযরত আলী মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী পাপ্পু ও পিচকামতাল গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মিয়ার ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিতর্কিত সভাপতি তারা মিয়া সহ ১০/১২ জন আমান উল্লাহর কাছে  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

এর ধারাবাহিকতা রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সেচ প্রদানকারী আমানউল্লাহর কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় আমান উল্লাহ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে  পাপ্পু,  বিএনপি নেতা তারা মিয়া,  ফারুক, খালেক  ও আব্দু রহিম,  হযরত আলী,  ইউসুফ ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জাহিদ খন্দকারসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫  জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে  আমান উল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্য উপর্যুপরি হামলা চালায়।

এ সময়  আমান উল্লাহ প্রাণ রক্ষার্থে ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় মহিলা মেম্বার লাভলী বেগমসহ কমপক্ষে ৫ জন গ্রামবাসী আহত হন। চাঁদাবাজদের হামলার ঘটনাটি  ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে কয়েকশত গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চাঁদাবাজদের গণপিটুনি দেয়।

চাঁদাবাজদের হামলায় আহতরা হলেন- সেচ প্রকল্পের মালিক আমান উল্ল্যাহ (৪০) ও তার স্ত্রী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাভলী বেগম (৩৬) ছেলে সোহান (২১),  আহাদ আলী ( ৫৫) ও  ছেলে বাহাউদ্দীন (৩৫)।  আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, সেচ প্রকল্প নিয়ে চাঁদা দাবি ও মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।