কোটা আন্দোলনকারীরা

স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল কোটা আন্দোলনকারীরা

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে যান।

‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক সার্জিস আলম, নাহিদ ইসলামসহ মোট ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। এরপর দুপুর তিনটার দিকে প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবন থেকে বের হতে দেখা যায়।

এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল আবারও গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফিরে আসে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন – সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, নিদ্রা, আশিক, মাহিন, মাসুদ ও সিফাত।

পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে এসেছি। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আমরা চাচ্ছি সরকারের কাছে যেহেতু আমরা আশ্বাস পাচ্ছি না, আমরা চাই তিনি হস্তক্ষেপ করে জাতীয় সংসদে আমাদের যে এক দাবি সে এক দাবির প্রেক্ষিতে সংসদে আইন পাস করতে ভূমিকা রাখবেন এবং প্রয়োজনে জরুরী অধিবেশন আহ্বান করবেন। আমরা আমাদের স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি সুপারিশ করেছি।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা চাই সংসদে অধিবেশন ডেকে সেটার আইন পাশের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক অথবা অধিবেশন আহ্বান করা হোক। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব সরকারের তরফ থেকে, রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কি ধরনের বক্তব্য এবং পদক্ষেপ আসছে সেটা পর্যবেক্ষণ করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব।

গত ১১ জুলাই শাহবাগ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এমনকি ব্যারিকেড ভেঙে খানেকটা সামনে অগ্রসর হয় এবং জলকামানের ওপর উঠে উল্লাসও করেন অনেক আন্দোলনকারী। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় আমাদের নামে যে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে, আমরা বলেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে।

আমরা সেটি আরো ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি আজকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে। এই অন্যায় মামলা দেওয়ার জন্য আমরা কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বাধ্য হবো।’

আরো পড়ুনঃ ১১ জনের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে