ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে রাস্তার পাশ থেকে মো. জুনায়েদ হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ মে) সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে কোনাখোলা ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জুনায়েদ হোসেন বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং মনির হোসেন ওরফে মনু মিয়ার ছেলে। তার বড় ভাই তুহিন বাস্তা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জুনায়েদ বোয়ালি এলাকার শেখ মেটাল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত শনিবার (৩ মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। রাতভর না ফেরায় পরিবার উদ্বিগ্ন থাকলেও পরদিন সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে গার্মেন্টসে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজাবাড়ি গার্ডেন পার্কে ঘুরতে যাওয়া এক নারীকে উত্ত্যক্ত করায় রুহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মসুর এলাকা থেকে আসা কিছু যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় জুনায়েদের। প্রতিবাদ করায় উত্ত্যক্তকারীদের সঙ্গে তার ও তার বন্ধুদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরবর্তীতে সেই যুবকরা দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে জুনায়েদের বাড়ির পাশে মহড়া দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সমাধানে পৌঁছায়নি।
নিহতের পরিবার ধারণা করছে, পূর্ববিরোধ ও শত্রুতার জেরেই পরিকল্পিতভাবে জুনায়েদকে হত্যা করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”