ভূমীদস্যু হকার্স লীগ নেতা আনোয়ারকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

কেরানীগঞ্জ জাতীয়

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী হকার্স লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ভূমিদস্যু আনোয়ার হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

১৫ মার্চ শনিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেরানীগঞ্জ শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আলআমিন মিনহাজ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন কেরানীগঞ্জের সাধারণ মানুষের সম্পত্তি লুট করে এখনও অবাধে ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে।  শহীদ রিয়াজের হত্যাকারী ও ছাত্র জনতা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের উপর হামলাকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই আনোয়ার। আনোয়ারকে গ্রেপ্তার ও তার অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যে আমরা ছাত্র সমাজ প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। যাতে তাকে শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাঁরা আমাদের বারবার শুধু আশ্বাস দিয়েছে, অথচ এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে ছাত্র সমাজ মর্মাহত। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে কেরানীগঞ্জে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের রক্তে রঞ্জিত নতুন বাংলাদেশে আমরা কোন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের চাই না। কেউ যদি এসব অপকর্মের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা রক্ত দিয়ে হলেও তাদের প্রতিহত করবো। স্বৈরাচারী হাসিনা ও তাঁর দোসররা যাতে আবারও বাংলার মাটিতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য আমরা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল শাখার আহ্বায়ক শাফায়েত হোসেন ঢালী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আনোয়ার ও তার সহযোগীরা আমাদের উপর দফায় দফায় অতর্কিতভাবে হামলা করেছিল। আনোয়ার নিজেও হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। সে হামলাকারীদের অর্থ দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। অথচ সে এখনও কেরানীগঞ্জে অবস্থান করছে। তার মালিকানাধীন সোনার বাংলা গ্রীন সিটি নামক অবৈধ আবাসন প্রকল্পের নামে শত শত কৃষক ও নিরীহ মানুষের জমি দখল করা হয়েছে। ওই অবৈধ আবাসন প্রকল্পের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। ওই আবাসন প্রকল্পের কার্যালয় এখনও নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। আওয়ামী হকার্সলীগের কেন্দ্রীয় নেতার এমন সক্রিয় কার্যক্রম ছাত্র সমাজ কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। অবিলম্বে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী হকার্স লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।