কেরানীগঞ্জে রাস্তায় রাস্তায় চলছে পানি ও শরবত বিতরণ

কেরানীগঞ্জের যুবকদের উদ্যেগে রাস্তায় রাস্তায় পানি ও শরবত বিতরণ

আগানগর কেরানীগঞ্জ জিনজিরা

প্রতিবেদকঃ মো রাহাত হোসেন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে উত্তপ্ত রাস্তায় মানুষকে বেরোতে হয়, বেঁচে থাকার জন্যই। এপ্রিল এমনিতেই দেশের উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়। তারমধ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে কেরানীগঞ্জের পূর্ব বন্দডাকপাড়া ইয়াং বয়েজ সংগঠন এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে তরুন ও যুবকরা মিলে রাস্তায় রাস্তায় পানি ও শরবত বিতরণ

বৃষ্টির জন্য মানুষ আকুতি করছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, বৃষ্টির দেখা নেই। ঢাকার কেরানীগঞ্জের রাস্তায় তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি ও শরবত সরবরাহ করছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে বা কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এমন কার্যক্রম চোখে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়।

এবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা না থাকায় চৈত্র মাসের শেষ সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কে হিট স্ট্রোকের ঘটনার কথা খবরে আসছে। আর এসবকে কেন্দ্র করেই কিছু মানবিক মানুষ লেবুর শরবত, পানির বোতল ও স্যালাইন নিয়ে পথে নেমেছেন তারা এসব তুলে দিচ্ছেন সাধারণ পথচারী এবং রিস্কাচালক ও ভ্যানচালকদের হাতে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাথেই বাবুবাজার ব্রিজের উপরে পূর্ব বন্দডাকপাড়া ইয়াং বয়েজ সংগঠন নামের একদল তরুণ পানির বোতল ও স্যালাইন সাধারণ পথচারী এবং রিস্কাচালক ও ভ্যানচালকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।রিস্কাচালক ও ভ্যানচালকরাও নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ পানির বোতল সাথে করে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। একই দৃশ্য দেখা গেল জিঞ্জিরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে। এখানেও লেবুর শরবত পথচারীদের তুলে দিচ্ছেন। এটি অবশ্যই একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিতরণ করা হচ্ছিল।

বাবুবাজার ব্রিজের উপরে এক ভ্যানচালক বলেন, ভ্যান ভরা মাল নিয়ে ব্রিজে উঠতে উঠতে খুব ক্লান্ত হয়ে যান তিনি। এই সময়টা একটু পানি দরকার হয়। অনেকেই এভাবে রাস্তায় পানি বিতরণ করছেন এটা খুবই ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন।

আরেকজন রিস্কাচালক পানি ও স্যালাইন নিলেন। তিনি বললেন, একটা পানির বোতল ও স্যালাইন কিনতে খরচ হয় ২৫ টাকা।এই ২৫ টাকা কামাই করতে আমার অনেকক্ষণ পরিশ্রম করতে হবে। উনারা এটা ফ্রী দিচ্ছেন। যারা এমন কাজ করছে তাদের আল্লাহ মঙ্গল করুন।

পূর্ব বন্দডাকপাড়া ইয়াং বয়েজ সংগঠন এর  সিয়াম হোসেন নামের একজন যুবকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,তীব্র তাপপ্রবাহে বাসা থেকাই বের হওয়া খুব কষ্টের। আমরা এই  তাপপ্রবাহ এর আগে কখনও দেখি নাই। যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রিস্কাচালক ও ভ্যানচালকদের মাঝে একটা পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করি।  আমরা সব বন্ধুরা মিলে এই আয়োজন করেছি। আমরা অতীতেও ছিলাম, বর্তমানেও আছি এবং ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতও থাকবো ।

 

আরো পড়ুনঃ ঢাকায় চা-সিগারেটের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধের নির্দেশ