মো. নাজিউল্লাহ ভূইয়া :
অবশেষে শাক্তা ইউনিয়নের আটি–খোলামোড়া প্রধান সড়কে বিশাল গর্ত হয়ে যাওয়া অংশটির সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বিয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজের প্রক্রিয়াটি শুরু করে। এতে দীর্ঘদিনের অবহেলা ও স্থানীয়দের অসহনীয় দুর্ভোগের অবসানে আশার আলো দেখছেন এলাকাবাসী।
বহুদিন ধরেই সড়কের এই অংশটিতে চলাচল ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং সাধারণ পথচারীরা প্রতিদিনই এই গর্তের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।
গত সোমবার, ২৭ মে ২০২৫ তারিখে স্থানীয় পত্রিকা কেরানীগঞ্জের আলো-তে “আটি–খোলামোড়া মেইন রোডে বিশাল গর্ত; ভোগান্তিতে এলাকাবাসী” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় প্রতিবেদনটি, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল মাওয়া কেরানীগঞ্জের আলো–কে জানান, “বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হবে।”
আজ বুধবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার কাজ শুরু করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, আপাতত বড় ধরনের দুর্ঘটনা রোধে রাস্তার বিশাল গর্তটি বালু দিয়ে ভরাট করে ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
তবে এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। শিগগিরই রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহানসাহ বলেন, “কেরানীগঞ্জের আলো-তে সংবাদ প্রকাশ না হলে হয়তো রাস্তাটি আরও অনেকদিন এভাবেই পড়ে থাকত। এখন অন্তত কিছুটা কাজ হচ্ছে, এতে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে। আমরা আশা করছি দ্রুতই স্থায়ী সংস্কার হবে।”
তিনি আরও বলেন, ❝ আজকের এ ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল, সংবাদমাধ্যমের সঠিক সময়োপযোগী ভূমিকা প্রশাসনিক সচেতনতা বাড়াতে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এলাকাবাসী এখন চায়, সড়কটির স্থায়ী সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন হোক অন্যথায় যে কোন দিন আবারও রাস্তাটি ধসে যেতে পারে এবং গর্তের সৃষ্টি হতে পারে।