খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার শুনানি ২৯ জুলাই

কেরানীগঞ্জ জাতীয়

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার  বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ১১ মামলায় শুনানির জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) এসব মামলায় অভিযোগ গঠন ও মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

অধিকাংশ মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় এবং এদিন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট আদালতের  অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর  তাপস কুমার পাল এ বিষয়টি  সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

শুনানি শেষে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী  রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। অপরদিকে ২০১৫ সালে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়।

এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

 

আরো পড়ুনঃ নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই- শেখ হাসিনা