বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোটা দেশ এখন আতঙ্কময় পরিবেশের মধ্যে পড়েছে। আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে এ দেশে বসবাস করছি। গরিব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আসায়, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাওয়ার আসায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক যেতে পারেনি। তারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের জমি বিক্রি করে যেতে না পেরে কেউ ভৈরব রেল সেতুতে আত্মহত্যা করেছেন, কেউ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। এটাই সরকারের অবদান। তারা গরিব মানুষকে আরও গরিব করে দিতে চায়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৫ জুন) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে সারা দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা যে কথা বলেন তার চার পয়সা দাম নেই, কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম একমাস আগে ৩০ টাকা ছিল। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। একহালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া-মহল্লার মধ্যে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকা। সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয় তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না। তারা চিন্তা করে তারা কীভাবে তারা টাকা পাচার করবে, কীভাবে তারা জনগণের টাকা লুট করবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে ভিন্নমত দমন করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন তাদের যেতে হয় কারাগারে। তাদের সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়। আজকে আমাদের অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে। তারা কোথায় আছে কেউ জানে না, তাদের পরিবারও জানে না। এরা এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেতে চায় যে গণতন্ত্র বলে এদেশে আর কিছু থাকবে না। গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে। মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে পারে না।
আরো পড়ুনঃ র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন হারুন অর রশিদ