নিহত রনি (৩৫) রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। বাবার নাম মৃত আব্দুল মালেক। পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া জিয়ানগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় রনিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন একদল যুবক। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে নিয়ে আসা যুবকরা হাসপাতাল থেকে চলে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের স্ত্রী রুমি বেগম বলেন, আমার স্বামী রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ১০টায় কাজের জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে শুনি আমার স্বামীকে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার একটি ১২ বছর বয়সের ছেলে আছে; আমি এখন তাদের নিয়ে কোথায় যাব। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
নিহতের বড় ভাই মো. জনি বলেন, ঘটনা শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখি তাকে মেরে ফেলেছে। তবে কে বা কারা তাকে মেরে ফেলেছে? কেন মেরে মারছে জানি না।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই এসএম তৌহিদুর বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার মোটিভ উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
সুত্র: যুগান্তর।